শুষ্ক ত্বকের জন্য শুধু শীতকালকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ডায়েট, ভুল প্রসাধনী ব্যবহারের জেরেও ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যায়। তার উপর দোসর হয় দূষণ ও শুষ্ক আবহাওয়ায়। সাধারণ প্রসাধনী ব্যবহারের বদলে মধু দিয়ে ত্বকের দেখভাল করুন।
মধুর মধ্যে একাধিক পুষ্টি ও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো ত্বকের সমস্যা কমাতে এবং ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রদাহ কমায় মধু। শীতকালে মুখ পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে আর্দ্রতা জোগাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। কী ভাবে করবেন, রইল টিপস।
মধুর সিরাম: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মধু মাখুন মুখে। এতে ত্বক অনেক বেশি নরম ও কোমল থাকবে। কিন্তু রাতে মধু মেখে ঘুমোলে ত্বকে চিটচিটে ভাব বাড়বে। তাই যে কোনও পছন্দের নাইট সিরামের সঙ্গে ১-২ ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে মাখুন। এতে রাতেও মধু ত্বকের যত্ন নেবে
মধু ও কেশরের ফেসওয়াশ: মধুর সঙ্গে কেশরের দু’টো দানা মিশিয়ে মুখে মাখুন। এটি ত্বক থেকে সমস্ত দাগছোপ পরিষ্কার করে দেয় এবং ত্বকের জেল্লা বাড়ায়। মধু ও কেশরের মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক অনেক বেশি সতেজ দেখাবে।
মধুর স্ক্রাব: শুষ্ক ত্বক এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। ত্বক এক্সফোলিয়েট করলে ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা সমস্ত মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে। মধুর সঙ্গে চিনি ও কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ত্বকের উপর হাল্কা হাতে স্ক্রাব করুন। এই এক্সফোলিয়েটর ত্বককে মসৃণ ও নরম করে তুলবে।
মধুর লিপ বাম: শীতকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়া খুব কমন সমস্যা। ফাটা ঠোঁটের উপর মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা দূর করে এবং ঠোঁট হাইড্রেটেড থাকবে। মধু মাখলে ঠোঁট সারাদিন ময়েশ্চারাইজ়ড থাকবে।